Welcome to Metropolitan College
প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী প্রশাসনিক কেন্দ্র ও শিক্ষানগরী হিসেবে খ্যাত রাজশাহী মহানগরের প্রানকেন্দ্র শাহ্মখদুম থানার মোড়, বিমানবন্দর রোডে মেট্রোপলিটন কলেজের অবস্থান। ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজটি মহানগরের অবহেলিত পশ্চাতপদ এলাকায় মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ও আকাঙ্খার সংঙ্গে সঙ্গতিপূর্ন শিক্ষাবিস্তারে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। প্রতিষ্ঠার প্রারম্ভিক কাল হতে নানা ঘাত প্রতিঘাত, চড়াই উৎরাই আর প্রতিকুলতা পাড়ি দিয়ে তৎকালীন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, কলেজ কমিটির সম্মানিত সদস্যবৃন্দ ও শিক্ষক / কর্মচারীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৯৮ সালে বর্তমান জায়গাটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার হতে অত্র কলেজের নামে লীজপ্রাপ্ত হয়।
১৯৯৯ সালে জমির উত্তর দিকে চাটাই ও টিনের অস্থায়ী ঘর তুলে নিজস্ব জায়গায় কলেজের পাঠ কার্যক্রম শুরু করা হয়। নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে- জমির দক্ষিন দিকে দ্বিতল ভবনের কাজ শুরু হয় এবং প্রাথমিক পর্যায়ে মাত্র ১টি কক্ষ নির্মান সম্ভব হয়, যার ফলে সেখানে দাপ্তরিক কাজ স্থায়ীভাবে শুরু হয়। পরবর্তীতে সম্পৃর্নভাবে শিক্ষকদের অর্থায়নে উত্তর দিকের চাটাই তুলে দিয়ে ইটের অস্থায়ী ০৪টি শ্রেনীকক্ষ করা হয়। পর্যায়ক্রমে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ, মাননীয় সংসদ সদস্যদের বরাদ্দ থেকে, সর্বপরি শিক্ষক কর্মচারীদের অর্থায়নে নির্মিত বর্তমানে সর্বসাকুল্যে ১৬টি কক্ষে দুইটি মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুম, একটি কম্পিউটার ল্যাব, ১টি লাইব্রেরী, ১টি অধ্যক্ষের কক্ষ, ১টি উপাধ্যক্ষের কক্ষ, ১টি শিক্ষক মিলনায়তন, ১টি অফিস কক্ষ, ২টি বিজ্ঞানাগার, ১টি ছাত্রী কমনরুম, ৫টি সাধারন শ্রেনীকক্ষে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। সরকারী আনুকুল্যে বহুতল ভবন অনুমোদনের জন্য প্রচেষ্টা চলছে।
বর্তমানে কলেজটিতে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় একুশ (২১)টি বিষয়ে এবং ¯œাতক পর্যায়ে বি.এ ও বি.এস.এস শ্রেনীতে নয় (০৯)টি বিষয়ে পাঠদান অব্যাহত আছে । তথ্যপ্রযুক্তি সম্বলিত আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা, দক্ষ প্রশাসন এবং অভিজ্ঞ মেধাবী শিক্ষকদের অবদান এই কলেজকে সমৃদ্ধ করেছে। পাঠদানকে যুগোপযোগী ও আনন্দদায়ক করার প্রচেষ্টা হিসেবে বর্তমানে কলেজে পাঠ-পরিকল্পনা কমিটি, সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতি কমিটি এবং ডিজিটাল কন্টেন্ট কমিটি কাজ করছে। সহপাঠ কার্যক্রম চলমান। শতভাগ ক্লাস নিশ্চয়তায় সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ প্রতিশ্রুতবদ্ধ। এভাবেই এই কলেজের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলেই রাজশাহীর প্রশাসনিক ঐতিহ্য ও শিক্ষানগরীর মর্যাদা অক্ষুন্ন রেখে জাতীয় পর্যায়ে যুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রজন্ম গড়ে তোলার কাজ নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর।